Title:ভালবাসা বাধা মানে না
Author:rupk
সীমান্তের ৭৪৪ নম্বর পিলারের ১ থেকে ৭ নম্বর সাব পিলার পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার দুই পাশে এদিন নেমেছিল হাজারো মানুষের ঢল। কাঁটাতারের বেড়ার ফাঁক দিয়েই চলে তাদের ভাবের আদান-প্রদান।
দেখা গেল, প্রায় সবাই সঙ্গে করে কিছু না কিছু উপহার এনেছেন। বেড়ার ওপর দিয়ে সেই উপহার তারা ছুড়ে দিচ্ছেন প্রিয়জনের দিকে।
বাংলাদেশের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারি এবং ভারতের জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, কলকাতাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সাইকেল, ভ্যান, অটোরিকশা, মাইক্রেবাস, মিনিবাসে করে খুব সকালে তারা হাজির হন সীমান্তে। এরপর চলে প্রতীক্ষার প্রহর।
বিজিবি ও বিএসএফের সবুজ সংকেতে সকাল সাড়ে ১০টায় সেই অপেক্ষার অবসান ঘটে। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলে এ মিলন মেলা।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগে পঞ্চগড়সহ চারটি উপজেলা ভারতের জলপাইগুড়ির অধীনে ছিল। বিভক্তির পর সীমান্তবর্তী এ এলাকার অনেকেই আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।
সত্তরের দশকেও এ সীমান্ত দিয়ে তারা প্রায় বিনা বাধায় আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারতেন। আশির দশকে কাঁটাতারের বেড়ায় তা বন্ধ হয়ে যায়। বহু বছর পর বিজিবি-বিএসএফের সম্মতিতে নববর্ষের দিনে আবার স্বজনদের দেখা পাওয়ার সুযোগ হয় তাদের।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক বলেন, "শুরুতে বিএসএফ সম্মত ছিল না। তবে ভারতীয় নাগরিকদের চাপে তারাও কাঁটাতারের বেড়ার কাছে আসার অনুমতি দেয়। দুই পাশেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা থাকে। নির্ধারিত সময়ের পর সবাই যে যার গন্তব্যে চলে যায়।"
অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান বলেন, "আবেগ আর ভালোবাসার শক্তি যে কত গভীর তা এখানে এলে টের পাওয়া যাবে। দুই চার ঘণ্টায় হাজার হাজার মানুষ তাদের আবেগ-অনুভূতি ভাগ করে নিচ্ছে। তাদের আরও একটু বেশি সময় দিলে কারও তো কোনো ক্ষতি নেই।"
Author:rupk
সীমান্তের ৭৪৪ নম্বর পিলারের ১ থেকে ৭ নম্বর সাব পিলার পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার দুই পাশে এদিন নেমেছিল হাজারো মানুষের ঢল। কাঁটাতারের বেড়ার ফাঁক দিয়েই চলে তাদের ভাবের আদান-প্রদান।
দেখা গেল, প্রায় সবাই সঙ্গে করে কিছু না কিছু উপহার এনেছেন। বেড়ার ওপর দিয়ে সেই উপহার তারা ছুড়ে দিচ্ছেন প্রিয়জনের দিকে।
বাংলাদেশের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারি এবং ভারতের জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, কলকাতাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সাইকেল, ভ্যান, অটোরিকশা, মাইক্রেবাস, মিনিবাসে করে খুব সকালে তারা হাজির হন সীমান্তে। এরপর চলে প্রতীক্ষার প্রহর।
বিজিবি ও বিএসএফের সবুজ সংকেতে সকাল সাড়ে ১০টায় সেই অপেক্ষার অবসান ঘটে। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলে এ মিলন মেলা।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগে পঞ্চগড়সহ চারটি উপজেলা ভারতের জলপাইগুড়ির অধীনে ছিল। বিভক্তির পর সীমান্তবর্তী এ এলাকার অনেকেই আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।
সত্তরের দশকেও এ সীমান্ত দিয়ে তারা প্রায় বিনা বাধায় আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারতেন। আশির দশকে কাঁটাতারের বেড়ায় তা বন্ধ হয়ে যায়। বহু বছর পর বিজিবি-বিএসএফের সম্মতিতে নববর্ষের দিনে আবার স্বজনদের দেখা পাওয়ার সুযোগ হয় তাদের।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক বলেন, "শুরুতে বিএসএফ সম্মত ছিল না। তবে ভারতীয় নাগরিকদের চাপে তারাও কাঁটাতারের বেড়ার কাছে আসার অনুমতি দেয়। দুই পাশেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা থাকে। নির্ধারিত সময়ের পর সবাই যে যার গন্তব্যে চলে যায়।"
অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান বলেন, "আবেগ আর ভালোবাসার শক্তি যে কত গভীর তা এখানে এলে টের পাওয়া যাবে। দুই চার ঘণ্টায় হাজার হাজার মানুষ তাদের আবেগ-অনুভূতি ভাগ করে নিচ্ছে। তাদের আরও একটু বেশি সময় দিলে কারও তো কোনো ক্ষতি নেই।"


0 comments:
Post a Comment