বিলবাওয়ের মাঠে বিধ্বস্ত বার্সেলোনা
প্রথম লেগে সেরা একাদশে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, ইভান র্যাকিটিকি ও জেরার্ড পিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের না রাখার মাশুল গুনতে হয়েছে লুইস এনরিককে। এদের অনুপস্থিতিতে মাসচেরানো, রাফিনহা ও সার্জিও রবার্তো মাঝমাঠে প্রভাব বিস্তার করতে ব্যর্থ হন। যে কারণে স্বাগতিকদের কাছে নাকাল হয়েছে কাতালানরা।
শুক্রবার বিলবাওয়ের মাঠে ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে বার্সা। গোলের পুরো দায়টা গোলরক্ষকের। ১৩তম মিনিটে বক্সের ওপরে উঠে এসে হেডে গোল ক্লিয়ার করেন মার্ক টার স্টেগান। তার হেড থেকে বল চলে যায় প্রায় মাঝমাঠে থাকা স্যান হোসের কাছে চলে যায়। ৪৫ গজ দূর থেকে নেয়া তার নেয়া বুলেটগতির শটে যখন বর জালের দিকে যাচ্ছিল তখন স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না বার্সার জার্মান গোলরক্ষকের।
২৬তম মিনিটে গোলের দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ। তবে তার প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দেন বিলবাও ডিফেন্ডার লাপোর্তে।
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ফের সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল বার্সেলোনা। তবে মেসির দারুণ ফ্রি-কিক ফিরিয়ে দিয়ে দলকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক গোরকা মোরেনো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে খেলায় ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে পড়ে বার্সেলোনা। ৫০তম মিনিটে পেদ্রো রদ্রিগেজের শট ক্রসবারে লেগে ফিরলে বার্সা গোলবঞ্চিত হয়। দুই মিনিট পর মেসির দারুণ একটি প্রচেষ্টা অসাধারণ নৈপুণ্যে ব্যর্থ করে দেন বিলবাও গোলরক্ষক। পরের গল্পটুকু অ্যাথলেটিকো বিলবাও ও অ্যারিস আদুরিস’র।
৫৩ মিনিটে বিলবাওয়ের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অ্যারিস আদুরিস। সতীর্থ স্যাবিন ম্যারিনোর ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেডে বিলবাওকে ২-০ গোলে এগিয়ে নেন তিনি। ঝাঁপিয়ে পড়েও গোল ঠেকাতে পারেননি স্টোন। ৯ মিনিট পর অ্যারিস আদুরিস নিজের দ্বিতীয় ও দলের হয়ে তৃতীয় গোল করে বার্সা শিবির স্তব্ধ করে দেন। বার্সা ডিফেন্ডারদের ব্যর্থতায় ডি বক্সের ভেতরে বল পেয়ে জোরালো শটে জাল কাঁপান আদুরিস।
আর ৬৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকেই হ্যাটট্রিক পূরণ করে বার্সার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন এই বিলবাও তারকা। বিলবাওয়ের এক খেলোয়াড়কে বিপদসীমায় বাজে ট্যাকল করলে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। মার্ক স্টেগানকে ফাঁকি দিয়ে আলতো শটে বল জালে জড়ান আদুরিস।
গত মে মাসে কোপা ডেল রে’র ফাইনালে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয় করেছির বার্সেলোনা। স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালের প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে মেসিদের পেয়ে সেই প্রতিশোধ অনেকটাই আদায় করে নিলো বিলবাও।
প্রসঙ্গত, আগামী সোমবার ঘরের মাঠ ন্যু-ক্যাম্পে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে আতিথ্য দিবে মেসি-সুয়ারেজের বার্সেলোনা। এক বছরে ছয় শিরোপার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে বিলবাওকে কমপক্ষে ৫-০ গোলে হারাতে হবে গত মৌসুমের ট্রেবল জয়ীদের। অন্যদিকে বিলবাও যদি এক গোলও করে বসে তবে মেসিদের শিরোপা জিততে হলে কমপক্ষে ৬ গোল করতে হবে।
0 comments:
Post a Comment